দেশে অনিবন্ধিত কারখানা, প্রতিষ্ঠান ও দোকানের সংখ্যা ১ লাখ ৪০ হাজার ২৬টি। অথচ নিবন্ধিত মাত্র ৯৪ হাজার ৫১৫টি কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠান। কোনো কারখানায় পাঁচজন বা তার বেশি শ্রমিক থাকলে সেই কারখানাকে শ্রম আইনের আওতায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর (ডিআইএফই) থেকে নিবন্ধন নিতে হয়। অন্য যে কোনো ধরনের দোকান ও প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন লাগে কোনো শ্রমিক না থাকলেও। অর্থাৎ কোনো দোকান মালিক এককভাবে চালালেও তাকে নিবন্ধন নিতে হবে। এমন নিয়ম থাকলেও দেশের সিংহভাগ কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠান এখনো নিবন্ধনের বাইরে।
জানা গেছে, রাজধানীসহ সারাদেশে নিবন্ধিত কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯৪ হাজার ৫১৫টি। এর মধ্যে তৈরি পোশাক (আরএমজি) কারখানা তিন হাজার ২৪৮টি ও নন-আরএমজি কারখানা ৪৫ হাজার ১৪৬টি। এছাড়া দোকান ২৬ হাজার ৯৯৬টি এবং প্রতিষ্ঠান ১৯ হাজার ১২৫টি। অপরদিকে অনিবন্ধিত কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এক লাখ ৪০ হাজার ২৬টি। এর মধ্যে দোকানের সংখ্যা এক লাখ ২৪ হাজার ৭৮৯টি এবং প্রতিষ্ঠান ৮ হাজার ৮৯৯টি। কারখানার সংখ্যা ৬ হাজার ৩৩৮টি। এর মধ্যে আরএমজি কারখানা ৮৫টি এবং নন-আরএমজি কারখানা ৬ হাজার ২৫৩টি। তবে অনিবন্ধিত কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর যে তথ্য দিয়েছে তা সঠিক নয় বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, সারাদেশে দোকানের সংখ্যাই ৭০ লাখের ওপরে। সব মিলিয়ে কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় এক কোটি হবে। সেখানে ৯৪ হাজার ৫১৫টি নিবন্ধিত এবং এক লাখ ৪০ হাজার ২৬টি অনিবন্ধিত দেখানো হচ্ছে। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে আড়াই লাখও হচ্ছে না, এ সংখ্যাটি হাস্যকর। এ পরিস্থিতিতে দেশের সব কারখানা, প্রতিষ্ঠান ও দোকান শ্রম আইনে নিবন্ধের আওতায় আনতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। প্রাথমিকভাবে ঢাকা জেলার সব আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, সুপারশপ, শপিংমল ও বড় মার্কেটের দোকান নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব জায়গায় এ কার্যক্রম শুরু করা হবে। শ্রম ও কর্মংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। সারাদেশের নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে শ্রম ও কর্মংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর। সারাদেশে অবস্থিত ৩১টি উপ-মহাপরিদর্শকের কার্যালয়ের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে ডিআইএফই। এতে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সময়ের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, আমাদের হিসাবে সারাদেশে দোকান আছে প্রায় ৭২ লাখ। কারখানা এই হিসাবের বাইরে। শুধু দোকানই আছে ৭২ লাখ। সুতরাং, সারাদেশে যদি আড়াই লাখের মতো কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠান আছে বলা হয়, তাহলে সেই তথ্য সঠিক নয়। শুধু ঢাকায়ই আড়াই লাখের বেশি আছে। সারাদেশে কত সংখ্যক কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠান আছে, সে বিষয়ে আপনাদের কোনো সার্ভে আছে কি? শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ডিআইএফই বলতে পারবে। আপনি ডিআইএফই-এ খোঁজ নেন।
এসময় ডিআইএফের তথ্য তুলে ধরা হলে তিনি বলেন, আমাদের পারফেক্ট কোনো স্ট্যাটিস্টিক নেই। আমাদের ইন্সপেক্টররা বিভিন্ন জায়গায় আছেন। ওরা পর্যায়ক্রমে সমস্ত ডাটা সংগ্রহ করবে। নিবন্ধনের আওতায় আনতে আমরা বসুন্ধরা, যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে শুরু করে এখন বড় বড়গুলো ধরছি। আমাদের জনবলেরও সংকট আছে। আপনাদের হিসাবে ঢাকায় ১১ হাজার ১৮০টি কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত এবং ২৫ হাজার ২৯৫টি অনিবন্ধিত। ঢাকায় অনিবন্ধিতের যে সংখ্যা দেয়া হচ্ছে তা কম মনে হচ্ছে কি না? এমন প্রশ্ন করা হলে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের ঢাকা কার্যালয়ের উপমহাপরিদর্শক মো. আতিকুর রহমান বলেন, অবশ্যই কম। আমরা রেগুলার পরিদর্শনে গিয়ে যে তথ্য পাচ্ছি, তার ভিত্তিতে তথ্য দেয়া হচ্ছে। সার্ভে করার মতো সক্ষমতা বা লোকবল ডিআইএফইর নেই।
এদিকে ডিআইএফইর তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় নিবন্ধিত আরএমজি কারখানা ৬৯৫টি ও নন-আরএমজি কারখানা দুই হাজার ৬৭৫টি। আর পাঁচ হাজার ৫৭০টি দোকান ও দুই হাজার ২৪০টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত। চট্টগ্রামে নিবন্ধিত ২৮৯টি আরএমজি ও তিন হাজার ৭১১টি নন-আরএমজি এবং তিন হাজার ৯৮৪টি দোকান ও দুই হাজার ৪০টি প্রতিষ্ঠান। গাজীপুরে এক হাজার ১২৫টি আরএমজি ও এক হাজার ৫১৯টি নন-আরএমজি এবং ৪৩০টি দোকান ও ১০৯টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত।
নারায়ণগঞ্জে নিবন্ধিত এক হাজার তিনটি আরএমজি ও তিন হাজার ৮০৩টি নন-আরএমজি এবং ৮৫৪টি দোকান ও ১৮৩টি প্রতিষ্ঠান। মুন্সিগঞ্জে ৬৫২টি নন-আরএমজি, ২৩৮টি দোকান ও ২১টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত। ফরিদপুরে ৭০৪টি নন-আরএমজি, ২১১টি দোকান ও ৩২১টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত। নরসিংদীতে নিবন্ধিত ছয়টি আরএমজি ও এক হাজার ৫৮২টি নন-আরএমজি এবং ৫৮২টি দোকান ও ১৬২টি প্রতিষ্ঠান।
টাঙ্গাইলে নিবন্ধিত ৯টি আরএমজি ও ১ হাজার ৫৯৭টি নন-আরএমজি এবং ৬৪৯টি দোকান ও ৪০৮টি প্রতিষ্ঠান। ময়মনসিংহে ৮৩টি আরএমজি ও ২ হাজার ৩৯৫টি নন-আরএমজি এবং ২ হাজার ১৪০টি দোকান ও ১ হাজার ৭০২টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত। কিশোরগঞ্জে ১ হাজার ২৪৫টি নন-আরএমজি, ৫১০টি দোকান ও ৯৮৭টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত। কুমিল্লায় ৬টি আরএমজি ও ১ হাজার ২১৬টি নন-আরএমজি এবং ১ হাজার ৬০টি দোকান ও ৫৪০টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত।
রাজশাহীতে দুটি আরএমজি ও এক হাজার ৫০টি নন-আরএমজি এবং ৮০৬টি দোকান ও ২০০টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত। পাবনায় দুই হাজার ৫৭৫টি নন-আরএমজি, এক হাজার ৭২টি দোকান ও ৯২৩টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত। বগুড়ায় এক হাজার ৫৫৪টি নন-আরএমজি, ৭৭৪টি দোকান ও ৬০৮টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত। সিরাজগঞ্জে নিবন্ধিত একটি আরএমজি ও এক হাজার ৩২৩টি নন-আরএমজি এবং ৫৯০টি দোকান ও ১৮১টি প্রতিষ্ঠান। রংপুরে ৯টি আরএমজি ও দুই হাজার ২০৭টি নন-আরএমজি এবং এক হাজার ৩১০টি দোকান ও এক হাজার ১৬৭টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত। দিনাজপুরে নিবন্ধিত এক হাজার ১০০টি নন-আরএমজি, এক হাজার ৬১৯টি দোকান ও এক হাজার ৬৪টি প্রতিষ্ঠান। খুলনায় এক হাজার ৬০৮টি নন-আরএমজি, ৭৭৫টি দোকান ও ৯৬২টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত। যশোরে নয়টি আরএমজি ও এক হাজার ২২৭টি নন-আরএমজি এবং তিনটি দোকান ও একটি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত। কুষ্টিয়ায় নিবন্ধিত ১ হাজার ১৭২টি নন-আরএমজি, ২৫২টি দোকান ও ২৫০টি প্রতিষ্ঠান। সিলেটে ১ হাজার ২৩৫টি নন-আরএমজি, ৫৩৬টি দোকান ও ৫৯৮টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত। মৌলভীবাজারে ৪টি আরএমজি ও ১ হাজার ৯৫৭টি নন-আরএমজি এবং ৫২৮টি দোকান ও ৪১১টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত। বরিশালে ১ হাজার ৩৩টি নন-আরএমজি, ৭৬৬টি দোকান ও ১ হাজার ৫২৩টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত। রাঙামাটিতে একটি আরএমজি ও ১৬১টি নন-আরএমজি এবং ২১১টি দোকান ও ২৩৯টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত। কক্সবাজারে নিবন্ধিত ৮৪০টি নন-আরএমজি, ১৯৯টি দোকান ও ৩৯৯টি প্রতিষ্ঠান। গোপালগঞ্জে দুটি আরএমজি ও ৪২৭টি নন-আরএমজি এবং ১৯৯টি দোকান ও ৩৩২টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত। মানিকগঞ্জে নিবন্ধিত ৪টি আরএমজি ও ৫৩৫টি নন-আরএমজি এবং ৯৯টি দোকান ও ৮৫টি প্রতিষ্ঠান। জামালপুরে ৮৩৭টি নন-আরএমজি, ৪১৪টি দোকান ও ৪৮৭টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৮৩৯টি নন-আরএমজি, ১০৭টি দোকান ও ৩৪৯টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত। ফেনীতে ১ হাজার ৪৩৯টি নন-আরএমজি, ৩০৮টি দোকান ও ৪১০টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত। নওগাঁয় নিবন্ধিত ৯২৮টি নন-আরএমজি, ২০০টি দোকান ও ২২৩টি প্রতিষ্ঠান।
ডিআইএফইর তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় ২৫ হাজার ২৯৫টি, চট্টগ্রামে ৫ হাজার ৮২২টি, গাজীপুরে ২ হাজার ৪৯৪টি, নারায়ণগঞ্জে ২ হাজার ১১৮টি, মুন্সিগঞ্জে ৯১৭টি, নরসিংদীতে ১ হাজার ৪২২টি, ফরিদপুরে ৩৭১টি, টাঙ্গাইলে ৪ হাজার ৯৪৯টি, ময়মনসিংহে ৩ হাজার ৮২৫টি, কিশোরগঞ্জে ৮১০টি, কুমিল্লায় ৪ হাজার ৬০০টি, রাজশাহীতে ১৯ হাজার ৩৫০টি এবং পাবনায় ১ হাজার ৩৩টি কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠান অনিবন্ধিত। এছাড়া বগুড়ায় অনিবন্ধিত ১ হাজার ৬৩৭টি, সিরাজগঞ্জে ১ হাজার ৭৩৪টি, রংপুরে ১৫ হাজার ৯৩৯টি, দিনজপুরে ৫ হাজার ৫৮৪টি, খুলনায় ১ হাজার ১৫০টি, যশোরে ৬ হাজার ৭৯৪টি, কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার ৭৪০টি, সিলেটে ৩ হাজার ৬৪০টি, মৌলভীবাজারে ৮২টি, বরিশালে ১৩ হাজার ৪৫টি, রাঙামাটিতে ৩ হাজার ৪১২টি, কক্সবাজারে ৭৩০টি, গোপালগঞ্জে ২ হাজার ৪৬৫টি, মানিকগঞ্জে ২ হাজার ২০টি, জামালপুরে ৭৯০টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯৯৮টি, ফেনীতে ১ হাজার ২০০টি এবং নওগাঁয় ২ হাজার ৫৮টি কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠান। খুব কম সংখ্যক কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত হওয়ায় সম্প্রতি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর এবং শ্রম অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় শ্রম ও কর্মংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ২০ মের মধ্যে দোকানপাট ও অন্য ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান শ্রম আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন না করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৩২৬ অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের পরিদর্শকরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার সব দোকানপাট অন্য ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন। শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনার জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, মাত্র ৯৪ হাজার ৫১৫টি কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত। আমাদের দেশে যে পরিমাণ কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠান আছে, সে হিসাবে এই সংখ্যা সন্তোষজনক কি না? এমন প্রশ্ন করা হলে শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, এ কারণেই আমরা সবাইকে নিবন্ধনের আওতায় আনার কথা বলছি। সবাই নিবন্ধিত থাকলে তো এটা বলতে হতো না। যেহেতু সবাই নিবন্ধিত না, সে জন্য সবাইকে আমরা নিবন্ধনের আওতায় আনতে চাচ্ছি। আপাতত আমরা ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এই কার্যক্রম চালাবো।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক ওমর মো. ইমরুল মহসিন বলেন, নিয়ম অনুযায়ী দেশে ব্যবসা করা সব কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠান আমাদের কাছ থেকে নিবন্ধন নেয়ার কথা। আমরা ঢাকার সব দোকান, প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের আওতায় আনার কার্যক্রম চালাচ্ছি। ঢাকার যেসব এলাকায় দোকান, প্রতিষ্ঠান বেশি, সেসব এলাকায় আমরা টিম গঠন করে দিয়েছি। এখন ঢাকায় ক্রাশ প্রোগ্রাম চলছে। আগামী ২০-২৫ মে’র মধ্যে আরও প্রায় ৫-৭ হাজার নিবন্ধিত হবে বলে আমরা আশা করছি।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের ঢাকা কার্যালয়ের উপ-মহাপরিদর্শক মো. আতিকুর রহমান বলেন, শ্রম আইন অনুযায়ী- কারখানায় পাঁচজন শ্রমিক থাকলেই নিবন্ধিত হতে হবে। আর দোকানের ক্ষেত্রে মালিক নিজে চালালেও আমাদের কাছ থেকে নিবন্ধন নিতে হবে। মুদি দোকান, সেলুন, টেইলার্সসহ সব ধরনের দোকান নিবন্ধিত হতে হবে। ঢাকার সব দোকান, প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের আওতায় আনতে আমাদের কার্যক্রম চলছে। আগামী ২০ মে উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে আমাদের মিটিং হওয়ার কথা। এ পর্যন্ত কী অগ্রগতি হলো, কী করতে পারলাম তা নিয়ে আমরা সে সময় আলোচনা করবো।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ঢাকার সব দোকান ও প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে-বিষয়টিকে আপনারা কীভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে ওনারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমরা ইতোমধ্যে শ্রম সচিবকে চিঠি দিয়েছি। আইনটা আসলে কী করা হয়েছে, এর সুবিধা-অসুবিধাগুলো কী-এগুলো আমরা আগে জানার, বোঝার চেষ্টা করবো। তারপর যদি আমরা সবাই ঐকমত্যে পৌঁছাই এটা করা যায়, তাহলে এটা করবো অথবা বাতিলের জন্য আবেদন করবো।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

* সারাদেশের মাত্র ৯৪ হাজার ৫১৫টি কারখানা দোকান ও প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত * সব কারখানা, প্রতিষ্ঠান ও দোকান শ্রম আইনে নিবন্ধের আওতায় আনতে উদ্যোগ * এর মধ্যে নিবন্ধিত তৈরি পোশাক কারখানা মাত্র তিন হাজার ২৪৮টি * প্রাথমিকভাবে আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, সুপারশপ, শপিংমল ও বড় মার্কেটের দোকান নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু
দেশে অনিবন্ধিত কারখানা প্রতিষ্ঠান প্রায় দেড় লাখ
- আপলোড সময় : ১৯-০৫-২০২৫ ১১:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৯-০৫-২০২৫ ১১:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন


কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ